শিল্পী সুলতানকে যেমন দেখেছি

বেশ কিছুদিন থেকে তাঁর অসুস্থতার কথা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁর বহুদিনের সাথী এজমায় ভুগছিলেন তিনি । যার কথা লিখছি তিনি এদেশের তথা এই উপমহাদেশের শিল্পাঙ্গনের শ্রদ্ধেয় ও বরেণ্য শিল্পী এস.এম. সুলতান পুরো নাম শেখ মোহাম্মদ সুলতান । তাঁর আবাসস্থল যশোরের নড়াইল অঞ্চলে । তিনি লাল মিয়া নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন । 

কারও কাছে তিনি কাকু, তাঁর সৃষ্ট  'শিশু স্বর্গের' শিশুদের কাছে তিনি দাদু আর এদেশের অনেক শিল্পীর কাছেই তিনি ছিলেন সুলতান ভাই হিসাবে পরিচিত। ১০ ই অক্টোবর, ১৯৯৪, প্রকৃতি ও মানবপ্রেমী এই মানুষটি চলে গেলেন এই সুন্দর পৃথিবী থেকে। তাঁর ভাষায় তাঁর এক সময়ের সৃষ্ট 'এঞ্জেলরাই' যেন তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে গেল এই ধরাধাম থেকে ।

বহুদিনের শিল্পী জীবন থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর হঠাৎ করেই যেন তাঁর আবির্ভাব ঘটে আমাদের আজকের আধুনিক শিল্পকলার জগতে ৭০ দশকের মাঝামাঝি। মনে পড়ে ৬০ দশকের শেষদিকে আমরা যারা মফস্বল এলাকা থেকে ঢাকা চারুকলা কলেজে ভর্তি হলাম তারা অনেকেই জয়নুল আবেদিন ও তার সমসাময়িক কয়েকজন শিল্পীর নাম ও তাঁদের কাজ সম্পর্কে কিছু ভাসা - ভাসা জ্ঞান ছাড়া আর কিছু জানতাম না। কলেজে ভর্তির কিছুদিন পরই আর একজন শিল্পীর নাম আমরা শুনলাম , যার নাম এস.এম. সুলতান যার আদি নিবাস নড়াইল, যিনি বোহেমিয়ান জীবন যাপন করেন বৃহত্তর খুলনা ও যশোর অঞ্চলে। আমাদের আরও আকৃষ্ট করল তাঁর বাহ্যিক বেশভূষা ও আচার আচরণ। সাপ, বেজি, বিড়াল, কুকুর এমনকি কাকও যার সহ- অবস্থানে বসবাস করে। এ সবই শোনা কথা। চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমাদের অনেকেরই হয়ে ওঠেনি। আমরা আরও জানলাম শিল্পীর জীবনে শিল্পানুরাগী নড়াইলের জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের সাহচর্য এবং পরে তাঁর পৃষ্ঠপোষক হিসাবে সোহরাওয়ার্দী পরিবারের অবদান। তাঁদেরই সহযোগিতায় কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। তৃতীয় বর্ষের কোর্স শেষ না হতেই তাঁর বোহেমিয়ান জীবনের শুরু। বছরের পর বছর তিনি ঘুরেছেন প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় সমগ্র ভারতবর্ষ । সেই সঙ্গে চালিয়ে গেছেন তার শিল্পচর্চা। আমরা জেনেছি শিল্পী সুলতানই একমাত্র এশীয় শিল্পী যার ছবি প্রদর্শিত হয়েছে বিশ্ববরেণ্য শিল্পী পাবলো পিকাসো, সালভাদর দালি এবং মাতিসের মতো শিল্পীদের সাথে লণ্ডনে । এই সব গল্প তখন শুনেছি তার এলাকা থেকে আসা আমাদের সমসাময়িক শিল্প শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যারা সেই সময়ে শিল্পী সুলতানের আর্ট স্কুলের ছাত্র ছিল কিংবা তার কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছিল।তখন শিল্পীর এই জীবনাচার আমাদের কাছে গল্পের মতোই মনে হতো। এই সব গল্প পরে শিল্পীর নিজের কাছ থেকেও শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল আমাদের অনেকের ।

সম্ভবত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতেই তাঁকে প্রথম দেখি। তাঁর কাজের প্রদর্শনীর জন্য তিনি এসেছিলেন। একাডেমীতেই আর্ট গ্যালারির নিচের গোল ঘরে তার থাকার ও আঁকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বড় বড় ক্যানভাসে গ্রামীণ জীবন, কৃষিকাজ এরকম আটপৌঢ়ে ঘটনাবলী নিয়েই তাঁর ছবির বিষয়বস্তু।এর সাথে এসেছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিকে নিয়ে কিছু বিশাল আকারের ছবি। ছবির বিষয়বস্তুর উপস্থাপন, ড্রইং ও রং- এর ব্যবহার আদিম শিল্পকলার সাথেই যোগসূত্র তৈরি করে দেয়।যেহেতু শিল্পীর সামগ্রিক কাজ, তাঁর জীবনযাপন, পারিপার্শ্বিক অবস্থান এবং তাঁর কাজের ফিলসফি সম্বন্ধে আমার প্রত্যক্ষ জ্ঞান ছিল না সেই জন্য তার এই সব কাজের নান্দনিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করার যোগ্যতা সেই সময় অন্তত আমার হয়ে ওঠেনি। এ ছাড়া সত্তর দশকের প্রথম দিকে আমাদের অগ্রজ শিল্পীদের কাজ এবং ইউরোপীয় শিল্পকলার আধুনিকতা আমাদের শিল্পধারার মাঝে দারুণ প্রভাব ফেলে । বলা যায় এ সময়টা ছিল আমাদের শিল্প আন্দোলনে একটা বিরাট পরিবর্তনের সময় সুলতানের প্রত্যাবর্তন আমাদের শিল্পাঙ্গনে একটা দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল শিল্পবোদ্ধা ও শিল্পানুরাগীদের মধ্যে। মানুষ, জনবসতি ও জীবন সংগ্রামের চলমান এই চালচিত্র দর্শকদের নতুন করে ভাবার সুযোগ এনে দেয় । বলছিলাম শিল্পকলা একাডেমীতেই তাঁকে প্রথম দেখি। কালো আলখাল্লায় ঢাকা ছিল তাঁর দেহ । টিকালো নাক, পিঠ অব্দি ছড়ানো কালো কোঁকড়া চুল, পাশে হয়তো বসা তাঁর পোষা বিড়াল। মৃদু উচ্চারণে কথা বলেন, অত্যন্ত বিনয়ী , সব মিলিয়ে এক ধরনের আকর্ষণ করার মতো ব্যক্তিত্ব। এরই মাঝে কোনো একদিন আমার আঁকা ছবি দেখাবার সুযোগ হয় শিল্পীকে। সেই তার সাথে সরাসরি কথা বলার প্রথম সুযোগ আমার ছবির বিষয়বস্তু ছিল স্বপ্নবিষয়ক। তিনি আমার ছবির প্রশংসা করেছিলেন, যদিও তার শিল্পধারার সাথে আমার ছবির কোনো মিলই ছিল না । বলেছিলেন তাঁর ছবির বিষয়বস্তুও স্বপ্নেরই ফসল তাই তাঁর ছবির মানুষজন সব বলিষ্ঠ, পরিশ্রমী ও কর্মঠ । এর মধ্য দিয়েই আমাদের এই গরিব দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের আশাবাদী হিসাবে দেখতে চান তিনি। হয়ত সেই কারণেই স্বপ্নের বিষয়বস্তু নিয়ে আমার আঁকা ছবি তার ভাল লেগেছিল । সেই থেকে তার সাথে আমার পরিচয় । যদিও অবস্থানের দূরত্বের জন্য অনেকদিন পরপরই দেখা হতো কিন্তু তার কাছ থেকে স্নেহের পরশ অনুভব করতাম বরাবর । 

তাঁর এই স্নেহের ফসল হিসাবেই ১৯৯১ - এর জানুয়ারির শেষ ও ফ্রেব্রুয়ারির প্রথম কয়েকদিনের জন্য চট্টগ্রাম সরকারী চারুকলা কলেজের বার্ষিক প্রদর্শনীর প্রধান অতিথি হিসাবে তাঁকে আরও কাছে পাবার সুযোগ পাই । সেই সময়ও তিনি বেশ অসুস্থ, কিন্তু তাঁর স্বভাবসুলভ বিনয়ের কারণে শিক্ষার্থী ও আমাদের আমন্ত্রণকে উপেক্ষা করতে পারেননি। আমি লক্ষ করেছি শিল্পী ও শিল্প শিক্ষার্থীদের সাহচর্যে তিনি অসুস্থতার মধ্যেও স্বাচ্ছন্দ অনুভব করতেন। সেই সময় এক দুর্লভ সৌভাগ্য হয়েছিল শিল্পী সুলতানের পোর্ট্রেট করার। শিল্পীর অন্যদের সাথে আলাপচারিতার সময় দু'তিন সিটিং - এ আমাকে শেষ করতে হয়েছিল অনেকটা স্কেচধর্মী এক পোট্রেট। বিরল সুযোগ হলো, আমার অনুরোধে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও এই পোর্ট্রেটের ব্যাকগ্রাউণ্ড এঁকেছিলেন তাঁর প্রিয় বিষয়বস্তু ' অ্যাঞ্জেল ' । নীল আকাশে মেঘের ভেলায় ভেসে আসছে তিনটি দেবশিশু। আর প্রায় দন্তহীন মুখে স্মিত হেসে বলেছিলেন, অ্যাঞ্জেলরা বলছে‘ তোমার সময় হয়ে গেছে, তোমাকে নিতে এসেছি”। শিল্পীর সাথে এই যোথ কাজ আমার জন্য একটা বিরাট ঘটনা বলে মনে করি ।

শিল্পী সুলতানকে নিয়ে ঐ সময় রাঙ্গামাটি যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল । রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাঁকে দারুণভাবে আপ্লুত করেছিল। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও চট্টগ্রামে ফিরেই রাঙ্গামাটির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য জলরং মাধ্যমে আঁকার প্রয়াস আমাদের বিমোহিত করেছিল ।ঐ সময় শিশুদের নিয়ে তাঁর নানা পরিকল্পনার কথা আমাদের বলেছিলেন। তার সৃষ্ট ‘শিশু স্বর্গে'র শিশুদের জন্য তৈরি করেছিলেন এক বিশাল নৌকা, যাকে নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল।

নড়াইলে যাওয়ার জন্য তার তরফ থেকে আমন্ত্রণ ছিল অনেক দিনের । যতবারই দেখা হতো ততবারই তার আমন্ত্রণের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি আমাদের। এবার হঠাৎ করেই একটা আমন্ত্রণ পেলাম বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী থেকে ।নড়াইলে শিল্পী সুলতানের তত্ত্বাবধানে আর্টিস্ট ক্যাম্প হবে দশ দিনব্যাপী। সুযোগ হাতছাড়া করলাম না এবার । ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনার পনেরো জন শিল্পী ও শিল্পশিক্ষার্থী ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আমাদের শিল্প সামগ্রীর লটবহর নিয়ে নড়াইলের কুড়িগ্রামে শিল্পী সুলতানের আবাস স্থলে পৌঁছলাম। তখনও রাত থাকাতে তাঁকে আর জাগানো হলো না। শুনলাম তিনি অসুস্থ । তাই আমাদের মালপত্র রেখে পূর্বনির্ধারিত হোটেলে চলে গেলাম। সেখানে বিশ্রামের পর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যখন শিল্পীর বাড়িতে গেলাম দেখলাম পুরো বাড়িটা দেয়াল ঘেরা একটা বাগান বাড়ি। গেট দিয়ে ঢুকেই ডান দিকে শিল্পীর স্টুডিও, আঙ্গিনার মাঝামাঝি জায়গায় তার আবাসস্থল। চারদিকে নানারকম ফুল ও পাতাবাহার জাতীয় গাছের সমারোহ । বাড়ির পূর্ব - দক্ষিণ দিক জুড়ে তার প্রিয় পশুপাখির থাকার ব্যবস্থা। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা ও ভারী টেবিল এবং বেঞ্চ পাতা। স্টুডিওর সামনে শিল্পীর ব্যবহারের জন্য বিশাল আকৃতির অনেক ইজেল।যেহেতু তিনি বড় আকৃতির ছবি আঁকতেন তাই এই ব্যবস্থা ।

অবাক লাগলো নড়াইলের মতো মফস্বল শহরের এক প্রান্তে কুড়িগ্রামের মতো জায়গায় আড়াই শ 'থেকে তিনশ' শিশু নিয়ে শিল্পী অপেক্ষা করছেন আমাদের জন্য। আমাকে দেখেই তার চিরাচরিত স্মিত হাসির মাঝে বিনয়ী সম্বোধন, ‘শেষ পর্যন্ত আপনি আসলেন। আমার খুব খুশি লাগছে, বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমি বললাম, 'সুলতান ভাই, এই অসুস্থ শরীরে আপনি বাইরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন'। তিনি বললেন ,'আপনাদের পেয়ে আমি সুস্থবোধ করছি। আর শিশুদের মাঝে আমি সব সময় স্বাচ্ছন্দ বোধ করি । অবাক হয়ে দেখলাম সংসারী না হয়েও শিল্পী সুলতান একটা বিরাট সংসারের মাঝে জড়িয়ে আছেন। তার এই পশুপাখি, মানুষজনের বিরাট সংসারের আহার যোগানোর জন্যই দেখেছি অসুস্থতা ও ক্ষীণ দৃষ্টি নিয়েও আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে ছবি এঁকে গেছেনকখনও তেল রং, কখনও বা জলরং- এর মাধ্যমে। আমরা অবাক হয়েছি তার এই মনোবল দেখে। বলছিলেন, শীতটা পড়ে গেলেই তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন, তার অনেক কাজ পড়ে আছে। শিশু স্বর্গের অনেক কাজ অসমাপ্ত। কি করে শেষ করবেন, কোথা থেকে টাকা আসবে এই ছিল তার সমস্ত চিন্তা-চেতনা জুড়ে। শিশু স্বর্গের শিশুদের মাঝেই খুঁজতেন আগামী দিনের প্রকৃত সুন্দর মানবপ্রেমী মানুষদের ।

তার এখানে যেসব শিশু আসে তারা প্রায় সবাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে । তাঁর জানা মতে শিশুদের অনেকের সকালের নাস্তাটুকু করে আসার সামর্থ নেই। এই ব্যাপারটা তাকে দারুণভাবে কষ্ট দিত । তাই তাঁর পরিকল্পনা ছিল পশুখামার করবেন, সেখানে গরু-মহিষ পালা হবে তার দুধ ও বাড়তি আয় থেকে ছেলেমেয়েদের ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা হবে ।

এর মাঝেই একদিন চিত্রা নদীতে ভাসমান তাঁর নৌকায় (যদিও অনেকটা লঞ্চের আদলে তৈরি এবং ইঞ্জিন চালিত) আমাদের নিয়ে গেলেন নড়াইল থেকে প্রায় বিশ মাইল ভাটিতে যাদবপুর এলাকায়।তাঁর নির্বাসিত জীবনের একটা বিরাট সময় এই এলাকায় তিনি কাটিয়েছিলেন। চিত্রা নদীর দুই তীরের দৃশ্যাবলী অবলোকন করলে বোঝা যায় শিল্পীর প্রায় সমস্ত শিল্পকর্মের দৃশ্যপট যেন এখান থেকেই উৎসারিত । নদীর ঘাটে গ্রাম্য বধূদের কলসি কাঁখে পানি নেয়া থেকে শুরু করে দুই পাড়ের কুঁড়ে ঘর, তালবীথি এই সব দৃশ্যাবলী যেন সরাসরি শিল্পীর ক্যানভাসে এসে জায়গা করে নিয়েছে। এমনকি এই সব অঞ্চলের মানুষজনের চেহারা, প্রশস্ত কপাল, উঁচু গণ্ডদেশ, চেপ্টা বলিষ্ঠ গড়ন, বাবরী চুল তাঁর শিল্পকর্মে প্রতিফলিত হতে দেখি। আমার মনে হয়, একজন দরদী শিল্পী না হলে তিনি তার আপনজন ও কাছের মানুষদের এমন বলিষ্ঠভাবে আমাদের এই আধুনিক শিল্পধারার সাথে পরিচিত করাতে পারতেন না। যাদবপুরের যে বাড়ির ঘাটে আমাদের নৌকা বাধা হলো এবং সুলতান সাহেবকে নৌকা থেকে নামানো থেকে শুরু করে তার প্রতি মানুষের ভালবাসার যে অভূতপূর্ব দৃশ্য অবলোকন করেছিলাম তার স্মৃতি আমাকে ও আমার সাথীদের অনেকদিন আলোড়িত করবে। জানি না তিনি শিল্পী সুলতান হিসাবে তাদের কাছে কতটুকু পরিচিত। কিন্তু সুলতান যে মানুষ হিসাবে জাতি-ধর্মের ঊর্ধ্বে এক বিশাল ব্যক্তিত্ব, একজন ভালবাসার মানুষ, তা স্বচক্ষে না দেখলে আমার অভিজ্ঞতার পাতায় একটা বিরাট শূন্যস্থান থেকে যেত।

তথ্যসূত্রঃএস এম সুলতান স্মারক গ্রন্থ

সম্পাদনাঃ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম 

সুবীর চৌধুরী 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি 

প্রকাশকালঃজুন ১৯৯৫

Share

Recent Comments

Recent Articles