লালমিয়ার মহাকাব্য

জীবনী শক্তি কতটা প্রবল হলে একজন মানুষের কাছে বৈষয়িক জীবনের আপাত:জৌলুস তুচ্ছ হয়ে যায় তা এস.এম.সুলতান কে দেখলে বোঝা যায়।

সুলতানের কীর্তি চিত্রকর্ম যতটা তার চাইতে অনেক বেশী তার পেছনের স্রোতের বিরুদ্ধে জীবনকে দেখার গভীর দৃষ্টি।

সেই অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে লাল মিয়া দেখেছেন  শ্রমজীবী নারী পুরুষের প্রবল সৃজনশীল ক্ষমতা, সেই সৃজনশীল ক্ষমতার প্রাবল্যে জেগে উঠে প্রকৃতি,তাঁর আকাশ বাতাস হয়ে উঠে প্রানবন্ত।তাদের সামনে কুঁকড়ে থাকে অস্ত্র,বিত্ত, ক্ষমতা,দাপট দিয়ে অর্থহীন ঐশ্বর্য্যের ঢাক বাজানো দুর্বৃত্ত ভি,আই,পিরা।

সুলতান সৃজনশীল মানুষের অসীম জীবনী শক্তি খুঁজতে গিয়ে নিজেই হয়ে উঠেন ক্ষমতাধর। মানুষের অসীম জীবনীশক্তি অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখেন তার সঙ্গে

 প্রকৃতি জগত,পশুপক্ষী, প্রানজগত অবিচ্ছিন্ন একই সূত্রে-গাঁথা।

সুলতানের কর্মে তৈরী হয় মহাকাব্য। মানুষ,বৃক্ষ, নদী,পশু -পক্ষী সব উঠে দাঁড়ায় প্রবল আনন্দে, বিশাল ক্ষমতায়।


আনু মুহাম্মদ

অধ্যাপক

অর্থনীতি বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


তথ্যসূত্র:ফেরা

সুলতান জন্মজয়ন্তী '২০০১

Share

Recent Comments

Recent Articles