পূর্ব বঙ্গের এক তরুণ শিল্পী

এস. এম. সুলতানের ছবি বোঝার জন্য তাঁর জীবনের এ ঘটনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ: তিনি তাঁর বাল্যকাল কাটিয়েছেন বাংলার গ্রামে-গঞ্জে। একজন বালক - বিস্ময় হিসেবে কলকাতার স্কুল অব আর্টস - এ তিনি কিছুটা প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, কিন্তু শিক্ষা শেষ না করেই তিনি স্কুল ছেড়ে দেন, এবং তারপর থেকে সারা উপমহাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । বলা যায়, তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাননি, তবে বিস্ময়ের দৃষ্টি দিয়ে তিনি আধুনিক শিল্পগুরুদের কাজের অনুকৃতি দেখেছেন , যদিও তারা যে প্রকরণগত এবং নান্দনিক বিপ্লবের প্রতিনিধিত্ব করে, তা তিনি বুঝতে পারেননি । তিনি পেন্সিল ও তুলি সম্বল করে কোনোক্রমে জীবন ধারণ করছেন, এবং নিজের ভরনপোষণের জন্য আর কোনো পেশা তাঁর জানা নেই । তিনি বাণিজ্যিক ছবি আঁকতে কখনো রাজি হবেন না। তাছাড়া বাণিজ্যিক কোনো কাজে হাত দেবার মত সুস্থিরতা তাঁর নেই । এর ফল হয়েছে এই যে, সারাজীবন দারিদ্র্যের সঙ্গে তিনি বসবাস করলেন, যদিও মাঝে মধ্যে সচ্ছলতার মুখ তিনি দেখেছেন, মাঝে মাঝে তিনি বেহিসেবীও হয়েছেন । যেহেতু তিনি যুদ্ধের সময় দিয়ে বেড়ে উঠেছেন, কাকতালীয়ভাবে তাই তাঁর ক্রেতাদের বড় অংশই এসেছে বৃটিশ সামরিক অফিসারদের মধ্য থেকে, যারা তাদের ভারত-বাসের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে অনেক কিছুর সাথে তাঁর ছবি কিনে নিয়ে গেছে।এই বিদেশী শিল্প - শ্রেমিক এবং শিল্পীদের মধ্যে ঘুরাফেরা করে সুলতান তাদের ধ্যান ধারণা ও রুচির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন ।

এতক্ষণ যা বলা হল, তা কিন্তু এমন কোনো যুক্তির প্রস্তাবনা নয়, যা থেকে মাত্র একটি সিদ্ধান্তেই আসা যায়। বস্তুতঃ এ অবস্থায় থেকে একজন শিল্পী বিচিত্র অনেক ধারার ছবি আঁকতে পারেন । আমরা ধরে নিতে পারি যে সুলতান প্রাচীন মুঘল চিত্রকলার অনুকরণে ছবি এঁকেছেন, কারণ যুদ্ধের সময় সংগ্রহযোগ্য হিসেবে এগুলোর উচ্চ মূল্য ছিল। তবে সুলতানের মধ্যে ছিল প্রকাশোন্মুখ একটি শিল্পী মন, যা 'যান্ত্রিক ছবি বানানো'তে আঁটকে থাকতে রাজি ছিলনা । প্রত্যেক শিল্পীই ছবি আঁকেন নিজেকে এবং তাঁর ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করতে । সুলতানের কাছে দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটি জরুরী হলেও এর মানে এ নয় যে, তিনি এমন একটি স্টাইল বেছে নেননি, যা তাঁর মেজাজের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সঙ্গতিপূর্ণ । সকল তরুণ শিল্পীর মত তিনি সেই তৈরি স্টাইলকে আঁকড়ে ধরেন, যা তার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করতে পারে । তবে তাঁর মধ্যে যখন এরকম একটি অতৃপ্তি জন্ম নেয় যে, তিনি যা বলতে চাচ্ছেন এসব স্টাইল তা ঠিকমত তুলে ধরতে পারছেনা, তখনি তিনি নিজের জন্য একটি আলাদা পথ তৈরি করে নেন ।সুলতান ধীরে ধীরে এই পথেই এগুচ্ছেন।

সুলতানের সংগ্রহে পুরোনো কোনো কাজ নেই, কারণ তিনি সব ছবি বিক্রি করে দেন। সেজন্য আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয় পাকিস্তান সৃষ্টির আগে তিনি কি এঁকেছিলেন । তবে এটুকু জানি যে তিনি প্রচুর এঁকেছেন , এবং সেসবের বিষয়বস্তু জীবন। এরপর থেকে অবশ্য তিনি প্রধানতঃ নিসর্গ দৃশ্যই আঁকছেন বাংলার এবং কাশ্মীরের , যদিও গত চার বছর তিনি কাশ্মীর থেকে দূরে, আর বাংলার বাইরে তিনি গত বারো বছর ধরে।তাঁর প্রায় সকল নিসর্গ চিত্রায়নই তাই স্মৃতি নির্ভর।এ জন্য, অনিবার্যভাবেই এসব ছবিতে আদর্শায়নের একটি প্রবণতা আসে, এবং তারা কিছুটা আবেগধর্মী হয়ে পড়ে, বিশেষ করে যখন স্থানীয় গ্রামীণ লোকজন ক্যানভাসে চলে আসে । এ উভয় বৈশিষ্ট্যই, আমি মনে করি, সুলতান অর্জন করেছিলেন যখন বিদেশী ক্রেতাদের জন্য তিনি ছবি আঁকছিলেন । তাছাড়া দ্রুত ছবি আঁকার সুবিধার জন্য স্টাইলটিও নিশ্চয় সেরকম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সুলতানের ছবি আঁকার সাচ্ছন্দ্য অবিশ্বাস্যঃ তিনি কখনো দীর্ঘ সময় নিয়ে ছবি আঁকতে গলদঘর্ম হননা- হওয়া সম্ভবও হয়তো নয়।তাঁর অস্থিরচিত্ততাও এজন্য অনেকটা দায়ী ।এর ফলে যা হয়েছে, তা হল: সুলতান কখনো সুচারুভাবে তাঁর ছবি শেষ করেন না এবং তাঁর বেশিরভাগ কাজই দ্রুত করা স্কেচ পর্যায়ের। শুধু ভাল কাজগুলিতে তিনি এক ধরনের প্রভাববাদী ছাপ রাখেন ।

স্টাইলের বৈচিত্র্য

সুলতানের কাজের বিশেষ গুণাবলী নির্ধারণের জন্য তাঁর কাজগুলি খুঁটিয়ে দেখা যাক । আমার মতে একজন দর্শককে যা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে তা হচ্ছে তার স্টাইলের বিস্ময়কর বৈচিত্র্য। প্রথমতঃ জলরঙে করা বাংলার নিসর্গ দৃশ্যের নরম, অনুচ্চকিত বর্ণবিন্যাস, যেখানে আকাশ ও পানির অবাধ বিস্তার, অদৃশ্য হতে থাকা দিগন্ত, নারিকেল গাছ এবং নৌকা, জেলে এবং ছবির মত কুটির এক শান্তশ্রী গ্রামীণ পরিবেশকে ফুটিয়ে তোলে। অগভীর তরল এবং সমতল !

এরপর আছে কাশ্মীরের নিসর্গ চিত্রায়ন, যার অধিকাংশ তেল রং - এ করা, এবং সবই খুব রঙিন, বলা যায় উচ্চকিত বর্ণিল । এসব ছবিতে গভীর বেগুণী রঙের পর্বত, বিচিত্র ঝোঁপঝাড় এবং বৃক্ষ, হ্রদ ও নদী এমন এক চিত্র আঁকে যা বাংলার নিসর্গ দৃশ্যের একঘেঁয়ে বিস্তারের একেবারে বিপরীত।

এ দুই শ্রেণীর ছবিতেই একটি সাহিত্যক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়- আগ্রহ, বলা যায়, অ-শিল্পীসুলভ, কারণ তাতে উল্লেখযোগ্য বস্তু বা আকর্ষণীয় নিসর্গ চিহ্ন আঁকার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের একটি পরিচিতি তুলে ধরা, ফর্ম ও রঙের পঠন পাঠন হিসেবে তাদের শৈল্পিক মূল্য অন্বেষণ নয়, যা এসব বস্তুকে একটি উদ্দেশ্যমূলক বিন্যাসে সমন্বিত করতে পারত। সামগ্রিকভাবে, অথবা আলাদা আলাদা বর্ণনায়, প্রকৃত একটি কাঠামোর বিশ্বাসযোগ্যতা এসব ছবিতে অনুপস্থিত , কারণ তাৎক্ষণিক কোনো অবলোকন থেকে তারা সৃষ্ট নয়, এবং এসব নিসর্গদৃশ্য দ্রুত এক অতি সূক্ষ্ম বিস্তারে আবর্তিত হতে থাকে, যা বিশাল চিত্রতলে আলোর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াকে ছবির প্রধান বিষয়ে পরিণত করে।

অবশ্য সুলতানের কাজ শুধু এটুকু নয় ।অনেক কাছে থেকে দেখা দৃশ্য আছে, জলরঙে করা নিসর্গদৃশ্য আছে যেখানে সতেজ সবুজ একটি ফসলের মাঠ, ঝোপঝাঁড় অথবা একটি নিঃসঙ্গ বৃক্ষ তাদের মনোমুগ্ধকর আলোছায়ার বিস্তার নিয়ে আমাদের আকর্ষণ করে। এসব ছবি তিনি এঁকেছেন পত্রপল্লব এবং ছায়ার ওপর বদলে যেতে থাকা রঙের সুক্ষ্ম প্রভাবকে মনে রেখে।এসব কাজে তিনি প্রদর্শন করেন এক অসামান্য উদ্দীপনা কারণ এই বিষয়বস্তুর উপস্থাপনার শুধু দক্ষতা ও শিল্প কুশলতা এবং একের পর এক ওয়াশ চড়ানোর সাবলীলতা থাকলেই চলবে না, তার সাথে থাকা চাই ব্যঞ্জনাধর্মী নানা কুশলী স্পর্শে ছবিকে সঞ্জীবিত করার সামর্থ্য, যা জীবন ও গতিময়তার সকল কম্প্রমান তীব্রতা নিয়ে বাস্তবতাকে পুনর্নির্মাণ করতে মনকে সাহায্য করবে । একটি বৃক্ষের বৈশিষ্ট্যকে এভাবে শুধু যে অনেক চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করা যায় তা নয় ,বরং রেখা ও রং , আলো ও ছায়ার বিন্যাস হিসেবে এরকম একটি ছবি হয়ে দাঁড়ায় অনেক উন্নত শ্রেণীর ।

উপরে বর্ণিত কাজে সুলতান তাঁর চিত্রতল, গন্তব্য এবং ফর্মকে ওলটপালট করে দেন রং ও বর্ণশ্রেণীর অন্তর্গত সুসঙ্গতির প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণের জন্য: কিন্তু ছোট আকারের চমৎকার নিসর্গ দৃশ্যগুলিতে, বিশেষ করে যেগুলো তেল রং - এ এবং চাকু দিয়ে করা , এ কথা তেমন প্রযোজ্য নয় । এসব ছবিতে বিষয়ের নমনীয়তা সম্পর্কে গভীর ও উপরিতলের সম্পর্ক এবং মূল্যবোধের সার্বিক নির্মিতি সম্পর্কে তিনি অনেক বেশি সংবেদনশীল। এসব ছবিতে উপরিতল অপরিবর্তনশীল কোনো সমতল মাত্র নয়, বরং রঙের কিছু গাঢ়, পুরু, বাঙ্খয় প্রয়োগ এবং উচ্চনাদী বর্ণবিন্যাস এদের বৈশিষ্ট্য । একই রঙের নানা মাত্রা সংবেদনশীলতার সাথে পাশাপাশি বিন্যস্ত হয়েছে যাতে একটি সজীবতার আবহ তৈরি হয় । পাশাপাশি বিভিন্ন রং চড়িয়ে একটি বিশ্বাসযোগ্য কাঠামো এবং একই সঙ্গে ত্রুটিহীন একটি সাঙ্গীতিক সুষমাও তৈরি করেছেন শিল্পী। সেজান যেমন বলেন , “ রং যখন তার সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায় , ফর্ম ও তখন তার শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করে ।" এসব ছবিতে শুধুমাত্র সাহিত্যিক আগ্রহ বলে কিছু নেই । পাহাড় ও উপত্যকা , পাথর ও বৃক্ষ , ফর্ম ও রং- কে বোঝার এবং ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটি উপায় মাত্র। উপরের মন্তব্যগুলি সুলতানের সেইসব জলরঙের ছবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেখানে তিনি ছাড়া ছাড়া, স্বেচধর্মী স্টাইলের পরিবর্তে অনেক বেশি সুসম্পন্ন (যদিও প্রভাববাদী) ধরনের চর্চা করেছেন , যেমন তাঁর সমৃদ্ধ এবং পরিপক্ক হেমন্ত দৃশ্যের ছবিটিতে, যে ছবিকে আমি তাঁর একটি মাস্টারপিস হিসেবে বিবেচনা করি। এ ছবির মডেলিং চমকপ্রদ, এর বর্ণ বিন্যাসে সুমিতি উল্লেখযোগ্য এবং এর নক্সাটি তৃত্তিদায়ক । এর বাস্তব ভিত্তিটিও অবহেলিত নয় । এ ধরনের স্টাইলের নিচের সারিতে আছে আরেকটি কাশ্মীর দৃশ্যের ছবি , যার নক্সাটিই চোখে পড়ে প্রথমে । তবে আখরোট গাছের নিচে কাশ্মীরি মেয়েদের ছবিটি চমৎকার । গাছটির পত্রপল্লব কিছুটা রীতিবদ্ধ - সুলতানের ছবিতে এসব কখনো বাস্তবধর্মী হয়না কিন্তু গুঁড়িটি তার ঘন বলিষ্ঠতার জন্য এক ধরনের স্থাপত্যধর্মিতা লাভ করেছে । হয়তো কখনো তাঁর হাতে যখন সময় ছিল, সুলতান দীর্ঘক্ষণ খুঁটিনাটি পরীক্ষা করেছেন এবং ভাসমান প্রভাবনিচয় থেকে দূরে পরস্পর গ্রথিত অন্তর্দৃষ্টির বলয়ে প্রবেশ করেছেন। এর ফলে কাশ্মীরের হেমন্তদৃশ্যের এক অসাধারণ পট তিনি এঁকেছেন যেখানে একটি বজরা নৌকা সামনের অঞ্চলটি দখল করে আছে । এ ছবির নক্সাটি অপূর্ব গাছের আঁকাবাকা ডালপালার সমৃদ্ধ বিস্তার প্রায় প্রতীকী একটি তাৎপর্য তুলে ধরে । স্পেস বা দেশ নিয়ে যে নির্মিতি এ ছবিটিতে দেখা যায় তার দক্ষতা এবং বাস্তবতা প্রশ্নাতীত। তাড়াহুড়ায় করা স্কেচ এবং অনেক পরিশ্রমে শেষ করা কাজের মাঝামাঝি একটি সুমিতি অর্জন করে এ ছবিটি , যা একটি অ - প্রভাববাদী ছবিকেও আধুনিক শিল্পের অনুরাগীদের জন্য সুখকর একটি অভিজ্ঞতায় পরিণত করে । 

তবে এ কথাটি অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় যে, সুলতান শুধুমাত্র নিসর্গ দৃশ্যের চিত্রী নন । তিনি মানুষের ফিগার নিয়ে অনেক চমকপ্রদ কাজ করেছেন, এবং আমি তাঁর ড্রাইপয়েন্ট স্কেচ এবং ক্র্যায়নে করা বড় কাজ দেখেছি, যাদের উঁচুমাত্রার কাজ বলে আমার মনে হয়েছে। তবে আমার জন্য একটি চমৎকার বিস্ময় ছিল সম্প্রতি করা তাঁর দুটি বিশাল প্যানেল, যেগুলি ভীড়াক্রান্ত উদ্বাস্তু এবং দারিদ্র্য পীড়িত মানুষজনে। মানুষের ফর্ম তিনি যেভাবে আঁকেন , তার প্রশংসা করতেই হয়। তাঁর কম্পোজিশনও বিস্ময়কর । মানুষের ফিগার আঁকতে গিয়ে তিনি যে কঠোরতা নিয়ে রেখা নির্বাচন করেছেন, পুরো কম্পোজিশনের বিশালতা এবং সপ্রতিভতা এবং সর্বোপরি এসব প্যানেলের মানবিক আগ্রহ এবং ট্র্যাজিক চেতনা আমার কাছে তাঁর বেড়ে ওঠা এবং পরিপক্কতার অভ্যর্থনাযোগ্য চিহ্ন বলে মনে হয়েছে ।আমার বিশ্বাস প্রকরণ ও কৌশলগত ক্ষেত্রে সুলতান সাফল্য অর্জন করেছেন । এখন তাঁর যা প্রয়োজন তা হল, মহৎ ধ্যান-ধারণার সঙ্গে এবং জীবন ও শিল্পের কিছু সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয়, যা তাঁকে তুলনাহীন শিল্পসৃষ্টিতে সাহায্য করবে । আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিয়োগ কার্যক্রমের অধীনে আমেরিকায় তাঁর বর্তমান ভ্রমণ এদিক দিয়ে একটি সঠিক পদক্ষেপ যা তাঁর জন্য হয়তো সুফল বয়ে আনবে ।

  

পাকিস্তান কোয়ার্টার্লি, জানুয়ারি ১৯৫২ তে প্রকাশিত ইংরেজি নিবন্ধের অনুবাদ ।

তথ্যসূত্রঃএস এম সুলতান স্মারক গ্রন্থ

সম্পাদনাঃ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম 

সুবীর চৌধুরী 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি 

প্রকাশকালঃজুন ১৯৯৫



Share

Recent Comments

Recent Articles